প্রকাশকের কথা
সালের পর কবি মু আ কুদ্দুসের কোনো গ্রন্থ প্রকাশ হয়নি। দীর্ঘ এক দশকে কবি লেখা থেকে দূরে ছিলেন এমনটিও বলা যাবে না। কারণ, তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখেছেন। এবার তিনি নতুন পুরাতন লেখা নিয়েই জলে আগুন জ্বলে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের উদ্যোগ নিলেন। যদিও জলে আগুন জ্বলে কবিতাটি দুই যুগের আগে প্রকাশ হয়েছিল। সেই কবিতাকে ঘিরে এবার একুশে গ্রন্থমেলায় তার ষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ এলো। কবির পরিচয় দেওয়ার কিছু নেই। কারণ, বহু আগে লেখক হিসেবে তিনি বড় একটা পাঠক তৈরি করে নিয়েছেন। কবিতার শব্দ এবং শরীর নির্মাণ করেছেন প্রেম, প্রকৃতি, মাটি আর মানুষকে নিয়ে। গ্রামবাংলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা লতা-গুল্ম তার কবিতার সামগ্রী। সহজ শব্দ এবং গ্রামবাংলার চেনা মেঠো পথের দু’পাশের বস্তু তার কবিতার হৃদয়। কবি কখনও প্রেমিক কখনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এ কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতা ভিন্নভাবে উপস্থাপন হয়েছে তার লেখনীতে। পাঠকের ভালো লাগবে- এ মানসে গ্রন্থ’টি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি। আমি মনে করি কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ যথার্থই হয়েছে। গ্রন্থের কবিতাগুলো নিশ্চয়ই ভালো লাগবে পাঠকের। আর সব কবিতাই খ্যাতি পাবে এমন কথা কোনো কবি হয়তো বলেন না। মু আ কুদ্দুস, তিনিও বলেন না। কারণ, কবির ভাষায় এবং আমার চেতনায় একুটুই বলতে পারি। গাছের সব ফল খাওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠে না। কোনটা ঝরে পড়ে, কোনটা পচে যায়। এর মধ্য থেকে দু-একটা সুস্বাদু হয়। জলে আগুন জ্বলে এমন একটা বৃক্ষ যার বোঁটা অতি শক্ত। ঝরে পড়ে গেলেও অধিকাংশই খাবারযোগ্য। কবিতাগুলো পড়লে- আমার সঙ্গে একমত হবেন এবং বলবেন, সতিই সুন্দর।
- প্রকাশক
সূচিপত্র
* জলে আগুন জ্বলে
* ছোট্ট একটা ঘর
* তোমাকে হারায়ে খুঁজি
* এ মাটি আমার
* এখনও ঠিক আছি
* কাব্যের গোল্লাছুট
* মা
* বলছো না কথাটি
* শ্যামল মাটিতে মায়ের কান্না শুনি
* যেতে পারি
* ফিরে এলাম কাছে গিয়ে
* এই বিকেলে
* অস্থির ভাবনা
* একুশ আমার মহাকাব্য
* ফের যেখানে ছিলাম
* বালু নদী
* তুমি এলে না
* হারিয়ে গেল অজানা বাঁকে
* ধিক্কার
* কবি
* দেখা নেই
* শুরু হোক এখানেই
* আসে না অঞ্জলী
* বর্বর
* কেউ কবিতা পড়েন
* তুমি বন পলাশীর গদ্য
* রেখে এলাম সোনালি নোলক
* স্বাদ
* পারো তুমি যতো
0 Review(s) for জলে আগুন জ্বলে