ত্রিশ বছর আগে জন পুলারের জীবনটা ওলটপালট হয়ে যায়, যখন ফোর্ট মনরো থেকে তার মা জ্যাকি আচমকাই উধাও হয়ে যান। কিন্তু আচানক একটা চিঠির উপর ভিত্তি করে 'জ্যাকি মিসিং কেস' রিওপেন করা হয়। আর কেসের প্রাইমারি সাসপেক্ট হিসেবে সন্দেহ করা হয় জন পুলারের বাবা লিজেন্ডারি মিলিটারি থ্রি স্টার হোল্ডার জন পুলার সিনিয়রকে, যিনি ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত...এবং দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালের চার দেয়ালের ভেতর বন্দী!
এদিকে খু-নের দায়ে দশ বছর ধরে প্রতিশোধের আগুন বুকে নিয়ে জেল খাটছে পল রজার্স । তার এই অবস্থার জন্য দায়ী সবাইকে নিজের হাতে খু-ন করবে সে। কুড়ি বছর আগে ফোর্ট মনরোর এক রহস্যময় ফ্যাসিলিটি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল সেও।
ঠিক কী হয়েছিল ফোর্ট মনরোতে? জন পুলার কি পারবে বড় ভাই এয়ারফোর্স মেজর রবার্ট আর শ্যাডো ইউএস ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট ভেরোনিকা নক্সকে নিয়ে মায়ের নিখোঁজ রহস্যের সমাধান করতে? ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনরূপী পল রজার্সের সঙ্গে যুদ্ধে পারবে কি জয়ী হতে, নাকি তার কপালেও নাচছে মায়েরই মতো গু-ম হয়ে যাওয়ার দুর্ভাগ্য?
ডেভিড বালডাচির জন পুলার সিরিজের চতুর্থ তথা শেষ খণ্ড 'নো ম্যানস ল্যান্ড' এর অন্ধকার জগতে আপনাকে স্বাগতম।
দ্য নেস্ট--
আমি স্টিভ। আমার বয়স ১৩ বছর। একটা ছোট্ট ভাই আছে আমার। বয়স খুব বেশি হলে ১০ দিন। তবে বাবা মা তাকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করতেই বেশি ব্যস্ত থাকে। বিষয়টা মানতে পারছি না আমি কোনোভাবেই। বাবুর নাকি কি একটা রোগ হয়েছে; ডাক্তাররা বলেছে,খুব বেশিদিন সে বাঁচবে না। বাবা আর মা দুজনেই সারাদিন মুখ কালো করে বসে থাকেন।
আমার হাতে যদি কোনো ক্ষমতা বা সু্যোগ থাকতো,তাহলে বাবুর অসুখটা আর মা বাবার কষ্টটা আমি দূর করে দিতাম।
কিন্তু আজকে আমি স্বপ্নে সেই সু্যোগটার ব্যাপারে জানতে পারি। তারা নাকি আমার সব সমস্যার সমাধান করে দিবে। সব মানে,সব। বাবুর অসুখটাও ভালো করে দিবে। শুধু আমাকে হ্যাঁ বলতে হবে।
আচ্ছা,স্বপ্নতে বারবার ওদেরকেই দেখি কেনো? আর ওরা আমার স্বপ্নেই আসে কেনো? ওদের কি বিশেষ কোনো ক্ষমতা আছে? আর ওরা আমার সাহায্য করতে যে উঠেপড়ে লেগেছে---এতে তাদের লাভটা কি?
সার সংক্ষেপ-
কিছু কিছু শিশুর জন্য গ্রীষ্মকাল সবচেয়ে পছন্দের একটা ঋতু। কারণ তখন চারপাশ সূর্যের আলোয় আলোকিত থাকে; মাঠ দাপিয়ে তখন বন্ধুদের নিয়ে হরেক রকম খেলাধূলায় মেতে থাকা যায়। কিন্তু স্টিভের জন্য...
স্টিভের জন্য গ্রীষ্মকাল উৎকণ্ঠায় মোড়ানো আরো একটা মৌসুমের সূচনামাত্র !
সদ্য জন্মগ্রহণ করা অসুস্থ ছোটভাইকে নিয়ে উৎকণ্ঠা-
যে লড়াই করছে এক দুরারোগ্য মরণব্যাধির সাথে।
অসুস্থ নবজাতক, গোটা পরিবার আর দিশেহারা বাবা-মাকে নিয়ে উৎকণ্ঠা-
নিজেদের কর্মজীবন সামলাতে গিয়ে যাদের দশা উন্মাদপ্রায়।
উৎকণ্ঠা নতুন গজানো ভিমরুলের চাকটাকে নিয়ে- দোতলার ছাদের কার্নিশে সবার অগোচরে যেটা ক্রমাগত তিলতিল করে বেড়ে উঠছে।
এতোসব উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য স্টিভকে শুধু একবার 'হ্যাঁ' বলতে হবে।
কিন্তু সাবধান!!!
এক অক্ষরের এই ছোট্ট শব্দের মধ্যেই অপার শক্তি... আর ভয়ঙ্করতম বিপদ দুটোই লুকিয়ে আছে। কারণ এটা এমন এক শব্দ, যা একবার কোনোভাবে উচ্চারিত হয়ে গেলে তা ফেরত নেয়ার কোনো উপায় নেই।
আর তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্যটাই বা আসলে কী?
পাঠক আপনারা তৈরি তো? দ্য নেস্টের ভীতিকর আখ্যানের সাথে আপনাদের পরিচয় ঘটবে খুব শীঘ্রই।
Title | দ্য নেস্ট |
Author | কেনেথ ওপেল, Kenneth Opel |
Publisher | অনির্বাণ প্রকাশনী |
Translator | N-A |
ISBN | |
Edition | |
Number of Pages | 192 |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for দ্য নেস্ট