.অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই সমানভাবে পাচ্ছে না। ফলে দিন দিন আয়বৈষম্য বাড়ছে। সরকারি খানা জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশের মালিক ওপরের দিকে থাকা এক-তৃতীয়াংশ মানুষ। এ ক্রমবর্ধমান আয়বৈষম্যের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে গিনি সূচকে। এর সঙ্গে সম্পদবৈষম্য যুক্ত হয়েছে। কাঠামোগত বাধা অতিক্রমণের জন্য স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি কৌশল গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন জরুরি হওয়া সত্ত্বেও অনুপস্থিত। সরকারের গৃহীত যৎসামান্য আর্থিক পদক্ষেপসমূহ প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাড়াতে যথেষ্টভাবে কার্যকর নয়। এসব ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন ও সংস্কার ছাড়া অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।.... “... রাজনৈতিক সুবিধাবাদ ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রচণ্ডভাবে সর্বজনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে। রাষ্ট্র জনতার প্রতিষ্ঠান। দিন দিন প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গোষ্ঠীতন্ত্রের কবলে চলে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের সঙ্গে অধিকাংশ জনতার ‘সামাজিক চুক্তি' ঢিলে হয়ে পড়ছে। জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার কোনো বিকল্প নাই। এ মৌলিকে ফিরে যাওয়াই প্রধানতম কাজ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নকে যদি টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারায় টেনে আনতে হয়, তাহলে আদিম পুঁজি সঞ্চয়ের পন্থা যেমন—দুর্নীতি, অপকর্ম, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন প্রভৃতি অবলম্বনের পরিবর্তে উৎপাদন খাতকে গতিশীল করার কৌশল অনুসরণ জরুরি। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকারের অভাব, আইনের শাসন ও জবাবদিহির প্রতি অবজ্ঞা, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন এবং ক্ষমতাশালীদের দ্বারা অর্থনীতিকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করার মারাত্মক প্রবণতা দৃশ্যমান।
Title | রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও অর্থনৈতিক ফলাফল (১৯৭১-২০১৮) |
Author | রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, Rashed Al Mahmoud Titumir |
Publisher | সংহতি প্রকাশন |
ISBN | |
Edition | 2019 |
Number of Pages | 136 |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও অর্থনৈতিক ফলাফল (১৯৭১-২০১৮)