“...১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ যশোর সেনানিবাসে বাঙালী সৈন্যরা বিদ্রোহ করে প্রচণ্ড গোলাগুলির মধ্য দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে যেতে সক্ষম হয়। আমি প্রকাশ্যে চলে এলাম। তখনকার পুলিশ সুপার আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের জন্যে পুলিশ লাইন উন্মুক্ত করে দিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় সংবাদটা আমরা একটু দেরিতে পেয়েছিলাম । তা সত্ত্বেও বেশ কিছু অস্ত্র আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। এর মধ্যে থ্রি নট থ্রি ও চায়নিজ রাইফেল ছিল পরিমাণে বেশি। আমরা শহরের পশ্চিম দিকে সীমান্ত বরাবর সেনানিবাসকে সামনে রেখে কয়েকটি জায়গায় আমাদের শক্তি সমাবেশ করলাম—কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় [-গুলির দারুণ অভাব। বড় একটি সেনানিবাসের সেনাবাহিনীকে মোকাবিলা করার প্রশ্নে এ ছিল অপর্যাপ্ত প্রচেষ্টা । এটা আমরা জানতাম। যেন হঠাৎ সৈন্যবাহিনী শহরে ঢুকে পড়তে না পারে ও শহর ছেড়ে যারা চলে যাবেন তাদের কিছুটা সময়ের ব্যবস্থা করা হলো। তাছাড়া প্রাথমিক একটা ধাক্কার সামনে সবাই যেন একেবারেই দিশেহারা হয়ে না পড়ে।
অস্ত্র- ... যুদ্ধ হচ্ছে এমন একটি বিষয়, যেখানে সামান্য ভুলে বা পরিস্থিতির কারণে জীবন চলে যেতে পারে। কী পরিমাণ মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি হবে তা আগাম বলা প্রায় অসম্ভব। যুদ্ধ সরাসরি জয়-পরাজয়ের প্রশ্নকে সামনে নিয়ে আসে—যার মূল কথা হলো প্রতিপক্ষকে হত্যা বা বন্দি করে পরাজিত করা। যুদ্ধে বিজয় লাভই হচ্ছে বড় কথা।
Title | একাত্তরের যুদ্ধ : যশোরে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) এর বীরত্বপূর্ণ লড়াই ও জীবনদান (হার্ডকভার) |
Author | নূর মোহাম্মদ,Noor Mohammad |
Publisher | সংহতি প্রকাশন |
ISBN | |
Edition | 2016 |
Number of Pages | 156 |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for একাত্তরের যুদ্ধ : যশোরে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) এর বীরত্বপূর্ণ লড়াই ও জীবনদান (হার্ডকভার)