বিষয় ও বিষয়ীর মধ্যে যে নির্মোহ ভেদবোধ পুথিপাঠে নৈর্ব্যক্তিক প্রাচ্যবিদ্যাচর্চা করা যায়, নানা তুলনার বৈজ্ঞানিক ছক টানা যায়, আবদুল করিম বা দীনেশচন্দ্র সেন ঠিক সেই বোধের পক্ষে সব সময় সওয়াল করেননি। কারণ তাঁদের কাছে পুথিগুলোর আখ্যান বড় জীবন্ত, সেই জৈবনিক রসে তাঁরা ও তাঁদের প্রতিবেশী সমাজ মগ্ন। এই রসবোধ ও আস্বাদে বিষয় আর বিষয়ীর সত্তা সংলগ্ন হয়ে ওঠে, ঐতিহ্যের পরিবর্তে সেই রসসংলগ্নতাতেই পুথিপাঠের দাবি হাজির হয় । এসব ক্ষেত্রে মহান ‘মোক্ষলর’ বা যশস্বী গ্রিয়ারসনের সার্টিফিকেট যেন 'অধিকন্তু ন দোষায়। দীনেশচন্দ্র সেন স্পষ্টই জানান, “বাঙ্গালী পাঠক তাহাতে (সাহিত্য পাঠে) বিশেষ রূপ উপভোগের সামগ্রী পাইবেন কারণ বাঙ্গালীর মন যে উপাদানে গঠিত, সেই উপাদানে কাব্যগুলিও গঠিত।' ধুরন্ধর পণ্ডিত ম্যাকসমুল্যর ও গ্রিয়ারসনের নাম তর্কের খাতিরে সাহেবি বাজারে বিকোবার জন্য নেওয়া অতি আবশ্যক, ঐ অবস্থায় তাঁরাই বিপদতারণ। কিন্তু প্রাচীন বাংলা পুথি ও কাব্যের বৈশিষ্ট্যের উপভোগের ক্ষণে যে কোনো বাঙালি পাঠকের দাবি অগ্রগণ্য, এতে দীনেশচন্দ্র বা আবদুল করিমের সন্দেহ ছিল না। স্বকীয়তার আদত শক্তি তো এই বাঙালিয়ানার দাবিতেই আছে।”
Title | মুনশী আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ ও আত্মসত্তার রাজনীতি (হার্ডকভার) |
Author | গৌতম ভদ্র, Gautam Bhadra |
Publisher | সংহতি প্রকাশন |
ISBN | |
Edition | 2007 |
Number of Pages | 88 |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for মুনশী আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ ও আত্মসত্তার রাজনীতি (হার্ডকভার)