যতদূর জানা যায়, বাংলার সুবেদার নবাব আলীবর্দী খার সময়ে অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয় সিরাজগঞ্জ। এ সময়ে এখানকার জনগণ হাতে কাগজ তৈরিতে দক্ষ ছিল। তাঁরা নিপুন হাতে যে কাগজ তৈরি করত তা তুলট কাগজ নামে পরিচিত ছিল এবং তা মধ্য এশিয়ায় সরবরাহ করা হত। বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের নিকটবর্তী কালিয়া এবং কান্দাপাড়া মৌজায় এখনও তাদের বংশধরদের অস্তিত্ব দেখা যায়। বাংলার ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম কর্তৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উপর বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি অর্পিত হয়। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি কর্তৃক জমিদারীসমূহের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করা হয়। আর এই ২৮ বছর তথা ১৭৬৫-১৯৯৩ সালের মধ্যে দেশের সীমানায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। এ পর্যায়ে সিরাজগঞ্জ রাজশাহী বিভাগাধীন পাবনা জেলার অর্ন্তভূক্ত হয়। ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী হতে শাহজাদপুর, মথুরা ও পাবনা এবং দেশের দক্ষিণের জেলা যশোর হতে কয়েকটি থানা নিয়ে পাবনা গঠিত হয়। ১৭৭২ সালে সিরাজগঞ্জ মোমেনশাহী জেলার অধীনে একটি থানা সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্প ও বন্যার কারণে বক্ষ্মপুত্র নদ গতিপথ পরিবর্তন করলে মোমেনশাহী থেকে সিরাজগঞ্জ আলাদা হয়ে পড়ে।
Title | রায়গঞ্জ ইতিহাস সমাজ ও সংস্কৃতি |
Author | ড. খ ম রেজাউল করিম,Dr. K. M. Rezaul Karim |
Publisher | গতিধারা |
ISBN | |
Edition | 2011 |
Number of Pages | |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for রায়গঞ্জ ইতিহাস সমাজ ও সংস্কৃতি