অবাধ্যতার ইতিহাস
যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে পূর্বের অনেক সভ্যতা, যেভাবে মানুষকে বরণ করতে হয়েছিলো আল্লাহর অনিবার্য আযাব—তার আদ্যোপান্ত জানতেই ‘অবাধ্যতার ইতিহাস’ বইটি। মোটকথা, কীভাবে আমরা ইউরোপীয় চিন্তাগুলোকে গ্রহণ করে আমাদের দ্বীন ছেড়ে দিয়েছি। তার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে।
ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত
পশ্চিমা সভ্যতা আজ বিজয়ী শক্তি। তার রয়েছে চোখ-ধাঁধানো প্রযুক্তি, অভিনব জীবনদর্শন। মহাকাশ পর্যন্ত তারা জয় করে ফেলেছে। অত্যন্ত দাপটের সাথে পশ্চিমারা এখন ছড়ি ঘোরাচ্ছে পুরো দুনিয়া জুড়ে। মুসলিম বিশ্বকেও তারা করায়ত্ব করে ফেলেছে। পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে ইসলামি তমদ্দুন কালের স্রোতে হারিয়ে যেতে বসেছে। মুসলিম তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ফিরিঙ্গিপনার প্রবল আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতে আমাদের করণীয় কী? আমরা কি পশ্চিমাদের দাপুটে সভ্যতার কাছে সবকিছু সঁপে দেব? আত্মসমর্পণ করে নেব পশ্চিমা সংস্কৃতির সামনে?
ইসলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জীবনব্যবস্থা। এর রয়েছে পৃথক সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক কাঠামো। রয়েছে আলাদা সমাজব্যবস্থা। তাই একজন সত্যিকারের মুসলিম কখনো ফিরিঙ্গি সভ্যতার আনুগত্য করতে পারে না। বিলাতি সভ্যতার অনুকরণ করে ইসলামে মহান ভাবধারাকে বিসর্জন দিতে পারে না। তাকে অবশ্যই পশ্চিমা স্রোতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু কিভাবে সে অগ্রসর হবে? কোন পন্থায় আসবে ইসলামের পুনর্জাগরণ?
এসব দিকই খোলাসা করা হয়েছে “ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত” বইটিতে। মুহাম্মাদ আসাদ (রহ.) খুব স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ইসলামি কর্মধারা। বইটিকে বলা যায় “ইসলামি সভ্যতার ইশতেহার”। কর্মবীর মুসলিমদের চিন্তার খুরাক জুগাতে বইটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে ইন-শা-আল্লাহ।
বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের ইতিবৃত্ত
বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকটের জায়গাটাকে যদি একবাক্যে প্রকাশ করতে হয় তবে বলতে হবে বুদ্ধি ও মনস্তাত্ত্বিক সংকট। বিগত কয়েক প্রজন্মসহ বর্তমান মুসলিম প্রজন্মের মনস্তত্ত্বকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অচল করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মুসলিম জাতিসত্তা ও দীনি ফিতরাত নষ্ট হয়ে গেছে পশ্চিমা ও অন্যান্য জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক আঘাতে। ফলে আজ রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার সর্বত্র দীনহীনতার সয়লাব।
স্বাধীনতা, প্রগতি ও যুগচাহিদার নামে বর্তমান মুসলিম উম্মাহ যেই মানসিক দাসত্ব ও ধর্মহীনতার প্লাবনে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে এর সাথে বিগত ৩০০ থেকে ৩৫০ বছরের বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের গভীর সম্পর্ক আছে। উম্মাহর মনস্তত্ত্বকে মানুষের দাসত্ব থেকে আল্লাহর দাসত্বে ফিরিয়ে আনার জন্য ইসলামের সোনালি ইতিহাসের পাশাপাশি বিগত ৩০০ বছরের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করাতে হবে। তখন তারা বুঝতে পারবে, আজকের শাসনব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, পরিবারব্যবস্থা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা নয়। বরং উপনিবেশ, প্রাচ্যবাদ ও বিশ্বায়নের মাধ্যমে তাদের উপর বিদ্যমান মতাদর্শগুলো চাপিয়ে দিয়েছে ইউরোপ।
আর উম্মাহকে ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই নাশাত পাবলিকেশন নিয়ে আসছে “বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের ইতিবৃত্ত”।
আধুনিকতা
‘আধুনিকতা’ হলো ঐতিহ্যের বিপরীত প্রত্যয়। ঐতিহ্য বলতে বোঝায় মানুষ, মহাবিশ্ব এবং খোদার ত্রিত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত চেতনা-ব্যবস্থা এবং অস্তিত্ব-বিধানকে। ঐতিহ্যের ধারকগণ এই তিনটি বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়-আশয়কে মূল্যায়ন করেন। একজন ঐতিহ্যবাদী হলেন যিনি তার ছোট বড় সমস্যাবলীকে খোদা, মানুষ এবং মহাবিশ্বের সমন্বিত পটভূমিতে দেখেন এবং নিজের ব্যক্তিগত এবং সাংস্কৃতিক সিদ্ধান্তে খোদার আদেশকে বিবেচনায় রাখেন। ঐতিহ্যের প্রিন্সিপাল পার্সপেক্টিভ হলো খোদা। সেই পার্সপেক্টিভ থেকে খোদাকে খারিজ করে দেওয়ার নাম আধুনিকতা। ঈশ্বরকে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন ও সম্পর্কহীন করে দেওয়াই আধুনিকতা’র প্রধান মনোভাব।
মহাবিশ্ব, খোদা এবং মানুষের ত্রিত্ব থেকে খোদাকে অপসারণের কসরৎ আমাদের এখানেও জারি আছে। এহেন পরিস্থিতিতে ‘আধুনিকতা’র প্রভাব আমাদের ওপর কীভাবে এবং কতভাবে পড়ছে, আমাদের জন্য তা খতিয়ে দেখার জরুরত আছে। বক্ষমান গ্রন্থে তারই সর্বোত্তম খতিয়ান হাজির করেছেন প্রফেসর হাসান আসকারি।
পাক-ভারত উপমহাদেশে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের দ্বন্দ্ব-প্রশ্নে জ্ঞানতাত্ত্বিকভাবে যারা শরিক হয়েছেন, তাঁদের মাঝে হাসান আসকারির নাম সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। প্রগতিশীল সাহিত্য থেকে ঐতিহ্যবাদী চিন্তার দিকে আসকারির যে সফর, তার রয়েছে অসংখ্য গন্তব্য এবং প্রতিটি গন্তব্য হয়ে ওঠে এক নতুন যাত্রা ও নতুন চিন্তার শিরোনাম। সাহিত্যের জগৎ থেকে ধর্মের দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করে তিনি রচনা করেন কতিপয় গ্রন্থ। তন্মধ্যে, সবচে’ আলোচিত গ্রন্থটি হলো ‘আধুনিকতা’। বইটি তার শৈলীর দিক থেকে খুবই সহজ এবং অনুসরণীয় একটি বই। … বইয়ের দ্বিতীয়াংশে লেখক পাশ্চাত্য চিন্তা-দর্শনের প্রায় দুই’শ বিচ্যুতি ও বিভ্রান্তির সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, এগুলো দূর করা ব্যতিরেকে ইংরেজি শিক্ষিতদের কাছে দ্বীনের বিষয়াবলী বোধগম্য করানো সম্ভব হবে না।
চিন্তাযুদ্ধ
বর্তমান মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকটের জায়গাটাকে যদি একবাক্যে প্রকাশ করতে হয় তবে বলতে হবে বুদ্ধি ও মনস্তাত্ত্বিক সংকট। বিগত কয়েক প্রজন্মসহ বর্তমান মুসলিম প্রজন্মের মনস্তত্ত্বকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অচল করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মুসলিম জাতিসত্তা ও দীনি ফিতরাত নষ্ট হয়ে গেছে পশ্চিমা ও অন্যান্য জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক আঘাতে। ফলে আজ রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার সর্বত্র দীনহীনতার সয়লাব। স্বাধীনতা, প্রগতি ও যুগচাহিদার নামে বর্তমান মুসলিম উম্মাহ যেই মানসিক দাসত্ব ও ধর্মহীনতার প্লাবনে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে এর সাথে বিগত ৩০০ থেকে ৩৫০ বছরের বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের গভীর সম্পর্ক আছে। উম্মাহর মনস্তত্ত্বকে মানুষের দাসত্ব থেকে আল্লাহর দাসত্বে ফিরিয়ে আনার জন্য ইসলামের সোনালি ইতিহাসের পাশাপাশি বিগত ৩০০ বছরের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করাতে হবে। তখন তারা বুঝতে পারবে, আজকের শাসনব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, পরিবারব্যবস্থা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা নয়। বরং উপনিবেশ, প্রাচ্যবাদ ও বিশ্বায়নের মাধ্যমে তাদের উপর বিদ্যমান মতাদর্শগুলো চাপিয়ে দিয়েছে ইউরোপ। আর উম্মাহকে ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই নাশাত পাবলিকেশন নিয়ে এসেছে চিন্তাযুদ্ধ।
Title | বুদ্ধিবৃত্তিক প্যাকেজ (শায়েখ হারুন ইজহার হাফিঃ এর দাওয়াতি সিলেবাস) |
Author | ডা. শামসুল আরেফীন, প্রফেসর হাসান আসকারি, মাওলানা ইসমাইল রেহান, মুহাম্মাদ আসাদ (রাহিমাহুল্লাহ) |
Publisher | সাবিল পাবলিকেশন |
ISBN | |
Edition | |
Number of Pages | |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for বুদ্ধিবৃত্তিক প্যাকেজ (শায়েখ হারুন ইজহার হাফিঃ এর দাওয়াতি সিলেবাস)