একজন বেপরোয়া বিজ্ঞানী, গারিন—আবিষ্কার করে ভয়ংকর এক মারণরশ্মি। সেই প্রযুক্তির জোরে সে নিজেকে ভাবতে শুরু করে পৃথিবীর নিয়ন্তা। শুরু হয় এক ব্যক্তির ইচ্ছাকে গোটা মানবজাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার উন্মাদ চেষ্টা।
আলেক্সেই তলস্তয়ের লেখা এই উপন্যাস শুধু একটি রোমাঞ্চকর বৈজ্ঞানিক কাহিনি নয়, এটি এক ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক সতর্কবার্তাও। গারিনের আবিষ্কার, ‘পরাবৃত্ত-যন্ত্রে সৃষ্ট তাপরশ্মি’, অনেকাংশেই আধুনিক লেজার প্রযুক্তির কথা মনে করিয়ে দেয়। যদিও লেখক পরিস্কারভাবে জানান, তার এই কল্পনালব্ধ যন্ত্র বাস্তবসম্মত নয়, বরং উপন্যাসের শিল্পরূপকে প্রখর করতে ব্যবহৃত এক রূপক।
উপন্যাসে পুঁজিবাদ, ক্ষমতা আর প্রযুক্তির অপব্যবহার—এই ত্রিমুখী সংকটকে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ধনকুবের রোলিং-এর চরিত্রের মাধ্যমে দেখা যায় কিভাবে অর্থ আর প্রতিপত্তি মানবতাবিরোধী পথে এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু শেষমেশ, গারিনের মতো হঠকারী শক্তির পতন ঘটে।
এই উপন্যাস আজকের যুগেও প্রাসঙ্গিক—যখন বিজ্ঞানের প্রয়োগ কখনও শান্তির জন্য, আবার কখনও শোষণের অস্ত্র হয়ে উঠছে। তলস্তয়ের কল্পনার শক্তি ও ভবিষ্যৎদর্শী দৃষ্টিভঙ্গিই প্রমাণ করে, সাহিত্যের মাধ্যমে একটি জাতিকে সচেতন করে তোলা কতটা সম্ভব।
Title | গারিনের মারণরশ্মি |
Author | আলেক্সেই তলস্তয়,Alexei Tolstoy |
Publisher | নালন্দা |
ISBN | |
Edition | 1st Published, 2020 |
Number of Pages | |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for গারিনের মারণরশ্মি