পশ্চিমা শক্তির ছত্রছায়ায় ইসরায়েলের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র প্রতিরোধ আন্দোলনকে নিঃশেষ করা নয়, বরং প্যালেস্টাইনের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকেই ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র চালানো। এটি শুধুই বোমা বর্ষণ বা নেতৃবৃন্দের নিধনের মাধ্যমে দমন নয়—এ এক সূক্ষ্ম, ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত রাজনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞ।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বারুচ ক্রিমারলিং যেটিকে বলেছেন “পোলিটিসাইড”—অর্থাৎ, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। এই রাজনৈতিক হত্যার লক্ষ্য একেবারে সুস্পষ্ট: প্যালেস্টাইনের জাতিগত সত্তাকে, তাদের রাজনৈতিক কাঠামোকে এবং স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে চিরতরে ধূলিসাৎ করে দেওয়া।
এই “পোলিটিসাইড”-এর প্রকাশ ঘটে যেভাবেঃ
-
প্রতিরোধী দলগুলোর নেতাদের হয় কারারুদ্ধ করা হয়, নয়তো হত্যা করা হয়।
-
প্যালেস্টাইনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হয় হেনস্থা করা হয়, নয়তো রাজনৈতিক অঙ্গন থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়।
-
রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে স্বার্থসিদ্ধি করা হয়।
-
এমনকি সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র—যেখানে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে ওঠে—সেগুলোকেও বারবার ধ্বংস করা হয় বা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়।
এ হলো নিছক দখলদারিত্ব নয়, এ এক জাতিগত ও রাজনৈতিক নির্মূল অভিযান।
আর এই প্রেক্ষাপটে, একটি পরাধীন জাতি—যারা দমন-পীড়নের শিকার—তাদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামসহ যে কোনো উপায় গ্রহণ করার অধিকার আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত। জাতিসংঘ সনদের আলোকে এই অধিকারকে অস্বীকার করা যায় না। তাই প্যালেস্টাইনের প্রতিরোধ কোনো ‘সন্ত্রাস’ নয়, বরং তা একটি বৈধ ও ন্যায্য স্বাধীনতাকামী আন্দোলন।
সারকথা:
ইসরায়েলের যুদ্ধ কেবল জমি দখলের নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, এবং রাষ্ট্র নির্মাণের স্বপ্নকে হত্যা করার যুদ্ধ। এই যুদ্ধের নামই পোলিটিসাইড—যেখানে বুলেট নয়, নীতিগতভাবে পুরো একটি জাতির রাজনীতি ও রাষ্ট্র ধারণাকেই শেষ করে দেওয়ার অপচেষ্টা চলে।
Title | বধ্যভূমি প্যালেস্টাইন (হার্ডকভার) |
Author | আপডেট স্টাডি গ্রুপ, Update Study Group |
Publisher | আকাশ বুক হাউস |
ISBN | 9789849863168 |
Edition | 1st Edition, 2024 |
Number of Pages | 144 |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for বধ্যভূমি প্যালেস্টাইন (হার্ডকভার)