বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা জানি, প্রসঙ্গ কাঠামো বদলে গেলে সময় ও দূরত্ব বা ব্যাপ্তির পরিবর্তন হয়। আইনস্টাইনের মতে, পরম সময় বলে কিছু নেই। কিন্তু নিউটন ধর্ম ও দর্শনের মতো করে পরম সময় নিয়ে ভেবেছিলেন। তাঁর মতে, পরম সময় “বাহ্যিক কিছুর সাথে সম্পর্ক ছাড়াই সমানভাবে প্রবাহিত হয়”। বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সময়ের গণনা শুরু হয় ‘বিগ ব্যাঙ’ (Big Bang) থেকে। এর আগে সময় বা t=0 ছিল। এটি বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা যে, বিজ্ঞান বিগ ব্যাঙের আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলিকে সময় ও ব্যাপ্তির সাপেক্ষে সম্পৃক্ত বা বর্ণনা করতে পারেনি। তাই সময়ের পরমতা সম্পর্কে বিজ্ঞানের ধারণা নেই। মুসলিম চিন্তাবিদ যেমন আল-ফারাবি (873 – 950) এবং ইবনে সিনা (980 – 1037) মনে করেছিলেন যে, সৃষ্টির কাজটিকে অপার্থিব (স্থায়ী) এবং সম্পূর্ণরূপে যৌক্তিক হিসাবে কল্পনা করা উচিত। মূলত, সময় ব্যাপ্তি থেকে সম্পূর্ণ পৃথক, স্বাধীন ও মৌলিক। বিজ্ঞান অনুযায়ী জগত চতুর্মাত্রিক। ব্যাপ্তির ৩ মাত্রার সাথে সময়ের ১ মাত্রা যোগ করে হয় ৪ মাত্রা। ফলে পদার্থবিদ্যার সূত্রানুসারে বাম, ডান কিংবা অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু আমরা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দেখতে পাই, বাম-ডানের মধ্যে যদি রদবদল করা হয়, তাহলে দুনিয়ার তাবৎ বাঁহাতি মানুষ ডানহাতি হবে, বুকের বামপাশের হৃদযন্ত্র ডানপাশে অবস্থান নেবে। এতে খুব বেশি অসুবিধা না হলেও অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে যদি রদবদল হয়, তাহলে কী মহাকাণ্ড ঘটবে চিন্তা করুন। ঠিক টাইম ট্রাভেলের ফিকশনের মতো ঘটনা ঘটবে। তবে এখান থেকে একটা ব্যাপার অনুমান করা যায়, হাশরের ময়দানে কোন মানুষকে যখন তার দুনিয়ার আমলনামা দেখানো হবে, তখন সময়ের ডাইমেনশন উল্টে দিয়ে হয়ত তাকে দুনিয়ার জীবনে টাইম ট্রাভেল করানো হতে পারে।
‘থটস অব টাইম ফ্রম সূরা আসর’ বইটিতে কুর’আন, হাদিস, ফিকহ, ইতিহাস, যুক্তি, দর্শন ও বিজ্ঞানের আলোকে সময়ের অভূতপূর্ব ব্যাখ্যা হাজির করেছেন কবি ও চিন্তক বাপ্পা আজিজুল। হ্যাপি রিডিং!
থটস অব টাইম ফ্রম সূরা আসর
বাপ্পা আজিজুল
ইনসাফ পাবলিকেশন
প্রচ্ছদ : আহমাদুল্লাহ ইকরাম
Title | থটস অব টাইম ফ্রম সূরা আসর |
Author | বাপ্পা আজিজুল, Bappa Azizul |
Publisher | অক্ষরবৃত্ত,Akkarbirto |
ISBN | |
Edition | 1st Edition |
Number of Pages | 64 |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for থটস অব টাইম ফ্রম সূরা আসর