"সেই বিদেশিনী“ বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
জীবন বদলাবার আশায়, সংসারে স্বচ্ছলতা আনবার আশায়, মা বাবা ভাইবােনকে সুখে রাখবার আশায়, স্বপন নামের মধ্যবিত্ত পরিবারের যুবকটি চলে গিয়েছিল জার্মানীতে। সেখানে শ্রমিকের কাজ করে, হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে দেশে টাকা পাঠাচ্ছিল। স্বপন একটু রােগা, নরম নিরীহ ধরনের যুবক। একসময় সাহিত্যের ছাত্র ছিল। গােপনে গােপনে সে একজন রােমান্টিক কবি। ডায়রির পাতায় পাতায় কবিতা লিখে রাখতাে। কিন্তু জার্মানীতে কে মূল্য দেবে তার মনের, তার কবিতার! স্বাস্থ্য খারাপ বলে প্রায়ই কাজ চলে যায় তার। কাজের খোঁজে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে হঠাৎ করেই তার দুঃখময় জীবনে আবির্ভাব ঘটে সতেরাে বছরের আশ্চর্য সুন্দর এক মেয়ে লিলিয়ানের। সেই মেয়ে তার জীবনে নিয়ে আসে পূর্ণিমা রাতের স্নিগ্ধ চাদের আলাে। স্বপনকে ভাল রাখবার জন্য ধীরে ধীরে প্রেমেপড়া বাঙালি মেয়েদের মতাে হয়ে উঠতে থাকে সে। স্বপনের কাছে শুনে শুনে বাঙালি মেয়েদের চালচলন, আচার আচরণ এবং চারিত্রিক গুণাবলী রপ্ত করতে থাকে। এইভাবে দুই ভুবনের দুজন মানুষ পরস্পরের প্রতি গভীরভাবে ঝুকে যায়। ভালবাসতে শুরু করে একে অন্যকে। এই অসামান্য প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে লেখা ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস ‘সেই বিদেশিনী'।
0 Review(s) for সেই বিদেশিনী