মহাশূন্যে ভরশূন্য পরিবেশে দীর্ঘদিন অবস্থান করলে নভোচারীরা পৃ থবীতে ফিরে এসে যেন অশীতিপর বৃদ্ধ হয়ে পড়েন! গবেষণায় দেখা গেছে, ছয় মাসের মতো মহাশূন্যে অবস্থান করলে নভোচারীদের হাঁটুর নিচে পেছন-দিককার কাফ পেশি ক্রমেই শিথিল হয়ে পড়ে। তবে এ সমস্যা স্থায়ী হয়ে তাঁদের শরীরে জেঁকে বসে না। কয়েক মাসের উপযুক্ত শরীরচর্চায় নভোচারীদের শরীর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের মারকোয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী রবার্ট ফিটসের নেতৃত্বে একদল গবেষক যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পৃথিবী ফেরত ৯ জন নভোচারীর ওপর গবেষণা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেন। পৃথিবীতে ফিরে আসার পর এই সাময়িক বৃদ্ধ-জড়তা কয়েক মাস পর আস্তে আস্তে দূর হলেও মহাশূন্যের দূরবর্তী মিশনের জন্য এটি গভীর সংকট সৃষ্টি করতে পারে বলে গবেষণায় উল্লেখ করেন রবার্ট। তাঁর মতে, মহাশূন্যে ছয় মাসের কাছাকাছি সময়কাল ধরে অবস্থানের ফলে নভোচারীদের ভেতরে এ বৃদ্ধ বছরের ভার চেপে বসার সমস্যা সাময়িক সময়ের জন্য হলেও তা বিপজ্জনক। কেননা, আকস্মিকভাবে স্পেস শাটলের কোনো সমস্যা মেরামত করতে নভোচারীকে অনেক সময় জরুরি স্পেস-ওয়াক (মহাশূন্যে হাঁটা) করতে হয়। ২০১০ সালের ৩১ জুলাই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের শীতলীকরণ অ্যামোনিয়া পাম্প নষ্ট হওয়াটা ছিল এ জাতীয় সর্বশেষ ঘটনা। সে সময় নতুন পাম্প সংযুক্ত করতে নভোচারীদের তিন দফা স্পেস ওয়াক করতে হয়। তাই শারীরিক সঙ্গতি এভাবে হ্রাস পেলে সেসব জরুরি কাজ করা নভোচারীদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে জটিল হয়ে পড়ে।
0 Review(s) for মহাকাশ ও পৃথিবী বিজ্ঞান কুইজ