বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্বগর্ব
অনেক ত্যাগে অর্জিত আমাদের স্বাধীন – সার্বোভৌম বাংলাদেশ । আর এ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে; যাঁর ডাকে মরণ – পণ যুদ্ধ করে ত্রিশ লাখ তাজা প্রাণ তাঁদের বুকের টকটকে লাল রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন এদেশের সবুজ জমিনে । দুই লাখেরও বেশি নারী তাঁদের সর্বস্ব ত্যাঁগ , সম্ম্রম বিনাশের অত্যাচার সহ্য করে সবাধীনতা পরবর্তী জাতিগোষ্ঠীর জন্য জাতিসত্তার নাম – পরিচয় ও আত্মমর্যাদা নিশ্চিত করেছেন । বিশ্ব মানচিত্রে ভূমিষ্ঠ হওয়া বাংলাদেশ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্নের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ‘ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু ‘ গ্রন্থ । গ্রন্থকার কবীর চৌধুরী তন্নয় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিয়মিত কলাম লিখেছেন । মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছেন । তিঁনি মনে করেন , একটি সঠিক তথ্যনির্ভর জাতি গঠনে – ইতিহাস পাঠ , ইতিহাসের পর্যালোচনা , গবেষণা অতি জরুরি । এ গ্রন্থের সংকলিত রচনাগুলোর অধিকাংশই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে । গ্রন্থকার কবীর চৌধুরী তন্নয় মনে করেন, ‘ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু ‘ গ্রন্থের প্রতিটি রচনা আগামী প্রজন্নের জন্য রেফারেন্স হতে পারে । যা খুব সহজেই সঠিক ইতিহাস জানতে সহায়তা করবে ।
                                    
                                    
                                    
                                        
                                            
                                                                                                                                                                                                                                                
                                                    
                                                                              
                                                        
                                                        
                                                            হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একজন আদর্শ দেশনেতা ও রাজনীতিবিদই নন, তাঁর ছিলো উল্লেখযোগ্য সাহিত্য প্রতিভা। বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে যিনি সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার ফলে তাঁকে অভিহিত করা হয়ে থাকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে। মহান এই ব্যক্তির জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। তাঁর শৈশব কেটেছে গোপালগঞ্জেই, যার ফলে শিক্ষাজীবনের সূত্রপাতও সেখানে। ১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। স্কুল-কলেজের লেখাপড়া শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু ছাত্র রাজনীতি ও বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে যাওয়ায় তিনি আর পড়ালেখা শেষ করতে পারেননি। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার্থে তিনি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যার ফলে সরকারের রোষানলে পড়েন। রাজনৈতিক কারণে তিনি দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর প্রারম্ভে তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে জেলে আটকে রাখা হয়। এরপর দেশ স্বাধীন হলে দেশে ফিরে এসে তিনি দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এতকিছুর পরও বঙ্গবন্ধু সাহিত্যকর্মে অংশ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই ২টি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই সমূহ মূলত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। 'কারাগারের রোজনামচা' ও 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' এই দুটি বই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বই সমগ্র এর অন্তর্ভুক্ত। এই দুটি বই-ই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগে। বঙ্গবন্ধু নিজে তেমন বই রচনা না করলেও তাঁকে নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য বই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই এর মধ্যে শেখ হাসিনার লেখা 'শেখ মুজিব আমার পিতা', পীর হাবিবুর রহমানের 'পোয়েট অব পলিটিক্স', ফারুক চৌধুরীর 'স্মরণে বঙ্গবন্ধু', এম আর আখতার মুকুলের 'মুজিবের রক্ত লাল', শেখ শাহাদাতের 'বিপ্লবী নেতা শেখ মুজিব' ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা কতিপয় সেনাসদস্যের হাতে নিজ বাসভবনে সপরিবারে নিহত হন।
                                                        
                                                     
                                                 
                                                                                                                                             
                                         
                                     
                                 
                            
0 Review(s) for বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্বগর্ব