মাহির বুক ভরে শ্বাস নিল। তার ভরাট কণ্ঠে শোনা গেল নিচের কয়েকটি লাইন। “কখনো যদি সন্ধ্যে নামে, তুমি চলে এসো। যদি আকাশে চাঁদ হাসে, তবুও চলে এসো। > শুধু এমনভাবে এসো, যে আসার মাঝে ফিরে যাওয়াটুকু নেই।” ইরার চোখ দুটো ভিজে উঠল। সে নিজের ওপর বেশ বিরক্ত। এমন অসময়ে কারো চোখে জল আসে নাকি? সে ভাঙ্গা কণ্ঠে বলল, “সুন্দর লিখেছেন!” “আপনি কাঁদছেন কেন?” ইরা এ প্রশ্নের জবাব দিল না। চোখে জল নিয়ে পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল, “আমি কি আপনার হাত ধরে কিছুক্ষণ বসে থাকতে পারি?” মাহির ছোটো বাচ্চাদের মতো ইরার হাত শক্ত করে ধরল। কেউ কোনো কথা বলছে না। ভালোবাসা সবসময় ভালোবাসি বলার মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। ব্যক্তিগত নারীর ঘামভেজা কপালের চুল সরিয়ে চুমু এঁকে দেওয়াটা ভালোবাসা। আবার স্বামী অফিসে যাবার আগে তার টিফিন ক্যারিয়ারের বাটি আঁচল দিয়ে মুছে দেওয়াটাও ভালোবাসা। ভালোবাসা একটি অনুভূতি, যা মানুষভেদে নিজের সংজ্ঞা বদলায়। ইরার কাছে হয়তো হাত ধরে বসে থাকাটাই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
Title | দ্য জার্নি টু কাশ্মীর |
Author | আতিয়া আদিবা, Atia Adiba |
Publisher | নবকথন, Nobokothon |
ISBN | |
Edition | 1st Edition, 2024 |
Number of Pages | 124 |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for দ্য জার্নি টু কাশ্মীর