by মাওলানা তানজীল আরেফীন আদনান, Maulana Tanzil Arefin Adnan
Translator
Category: হজ্জ-উমরাহ ও কুরবানি
SKU: BP7VOK5X
কুরবানী—আল্লাহ তাআলার জন্য আত্মত্যাগের এক অনুপম দৃষ্টান্তের নাম। যার সূচনা করেছিলেন সাইয়েদুনা হযরত ইবরাহীম ও হযরত ইসমাইল আলাইহিমুস সালাম।
আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কুরবানী করার আদেশপ্রাপ্ত হওয়ার পর ইবরাহীম আ. প্রিয় বস্তুটি নির্ধারণে দোদুল্যতায় ভুগছিলেন—কোন সে প্রিয় জিনিস! যার কুরবানী করার কথা আল্লাহ তাআলা বারবার বলছেন আমায়! কিন্তু যখন বুঝতে পারলেন, প্রিয় বস্তুটি আর কিছুই নয়; বার্ধক্য বয়সে আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহার ইসমাইলকেই কুরবানী দেয়ার কথা বলা হচ্ছে আমায়। তখন আল্লাহর আদেশ পালনে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা করেননি।
আর এদিকে বালক ইসমাইল আ.-ও যেন তখন থেকেই নবীসুলভ আচরণ করছিলেন। পিতার কুরবানীর কথা শোনার পর তিনি একবাক্যে বলে ফেলেন,
یٰۤاَبَتِ افۡعَلۡ مَا تُؤۡمَرُ ۫ سَتَجِدُنِیۡۤ اِنۡ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰبِرِیۡنَ
বাবা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তা-ই করুন, ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈযশীলদের অন্তুর্ভুক্ত পাবেন।
পিতা-পুত্রের আত্মত্যাগের এই অনুপম দৃষ্টান্ত জগতে তুলনাহীন।
আল্লাহ তাআলা শুধু পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন, আর তাঁরা দুজনেই এতে রাজি হয়ে গেলেন! ইসমাইল আ.-কে আর কুরবানী হতে হয়নি; বরং জবাইয়ের ঠিক আগ মুহূর্তেই আল্লাহ তাআলা জিবরীল আ. এর মাধ্যমে জান্নাতী দুম্বা পাঠিয়ে দেন।
কিন্তু এই ঘটনা এখানেই শেষ হয়ে যায়নি, বরং একে আল্লাহ তাআলা কেয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির দৃষ্টান্ত বানিয়ে রেখেছেন। এবং এই ঘটনা যাতে বিস্মৃত না হয়ে যায় এজন্য কেয়ামত পর্যন্ত কুরবানীর বিধান জারি করে দিয়েছেন। ফলে যতদিন কুরবানী হবে ততদিন সবার মুখে মুখে পিতা-পুত্রের এই আত্মত্যাগের কথা জারি থাকবেই।
Title | দলিলসহ কুরবানীর মাসায়েল |
Author | মাওলানা তানজীল আরেফীন আদনান, Maulana Tanzil Arefin Adnan |
Publisher | উমেদ প্রকাশ |
ISBN | |
Edition | 1st Published, 2022 |
Number of Pages | 64 |
Country | Bangladesh |
Language | Bengali, |
0 Review(s) for দলিলসহ কুরবানীর মাসায়েল